,

মানসিক স্বাস্থ্য ও প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে এগিয়ে আসুন : প্রধানমন্ত্রী

বিডিনিউজ ১০ রিপোর্টমানসিক স্বাস্থ্য ও প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে এগিয়ে আসতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমি সব সদস্য রাষ্ট্র ও উন্নয়ন সহযোগীদের সবাইকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচির অংশ হিসেবে মানসিক স্বাস্থ্য এবং প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই। আর এই সভায় এ কাজে প্রযুক্তি ও আর্থিক সংস্থান চিহ্নিত করতে সবাই সহায়তা করবেন বলেও আমার বিশ্বাস।শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের সদর দপ্তরে ‘সাসটেনেবল ইউনিভার্সাল হেলথ কাভারেজ (ইউএইচসি): কমিপ্রিহেনসিভ প্রাইমারি হেলথ কেয়ার ইনক্লুসিভ অব মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড ডিঅ্যাবিলিটিজ’ শীর্ষক বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি বলেন, স্বাস্থ্যসেবা আমাদের উন্নয়নযাত্রার অবিচ্ছেদ্য অংশ। অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে এটি অত্যন্ত জরুরি। ‘সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা’ সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের অর্থনৈতিক সংকটে না ফেলে মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে সহায়তা করে। ‘প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা’ও জনগণকে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা দিযে থাকে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার এসডিজির ‘টার্গেট ৩.৪’ মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। বিশ্বব্যাপী আরেকটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা হচ্ছে প্রতিবন্ধিতা। বাংলাদেশের স্বাস্থ্যনীতি ও কর্মসূচিতে এ দু’টি বিষয়কেই বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।  ‘অনেক সময় সার্বজনীন স্বাস্থ্যে গুরুত্ব দিতে গিয়ে মানসিক স্বাস্থ্য ও প্রতিবন্ধিত্বকে অবহেলা করা হয়। এ ক্ষেত্রে ওষুধের সহজলভ্যতা ও প্রশিক্ষিতদের দিয়ে সাশ্রয়ী মানসম্মত সেবার প্রয়োজন। মানসিক রোগ মোকাবিলায় আমাদের বিশেষ পরিকল্পনাও প্রয়োজন।

’তিনি বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবার গুরুত্ব অনুধাবন করে ১৯৯৮ সালে আমাদের সরকারের প্রথম মেয়াদেই ‘কমিউনিটি হেলথ ক্লিনিক’ চালু করা হয়। এর আওতায় সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে গ্রামাঞ্চলে ১৪শ’র বেশি ক্লিনিক স্থাপন করা কয়েছে। ‘এ প্রকল্পে ক্লিনিক স্থাপনে স্থানীয়রা জমি দিয়েছেন এবং সরকারের পক্ষ থেকে ভবন নির্মাণ, দক্ষ জনশক্তি সরবরাহ, ওষুধ ও বিনামূল্যে চিকিৎসা সরঞ্জাম দেওয়া হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো এখন সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবায় রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।

’প্রতিবন্ধী ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৩ সালে আমরা প্রতিবন্ধী অধিকার ও সুরক্ষা আইন সংশোধন করেছি এবং ২০১৮ সালে মানসিক স্বাস্থ্য আইন করি। এখন আমরা মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত একটি জাতীয় কৌশলগত পরিকল্পনার উন্নয়ন করছি; যাতে বিভিন্ন অংশীজনসহ সামগ্রিকভিত্তিতে মানসিক স্বাস্থ্যসেবাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।বৈঠকে বিশ্ব সম্প্রদায়ের অভিজ্ঞতা ও মতামত ভাগাভাগিতে সবাই লাভবান হবে বলে মনে করেন শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালকের মানসিক স্বাস্থ্য ও অটিজম বিষয়ক উপদেষ্টা, বাংলাদেশে জাতীয় অটিজম ও নিউরোডেভেলপমেন্ট ডিসঅর্ডার বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপার্সন সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুল।

এই বিভাগের আরও খবর